দৃশ্যপট-১-
সদ্য বিবাহিত আফরান ডাইনিং এ বসে ডিনার করছে স্ত্রী আফিফাকে সাথে নিয়ে।
দেশের নামকরা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পর্যায়ে ইকোনমিক্সে প্রথম বিভাগে প্রথম । স্নাতোকোত্তরেও প্রথম বিভাগ । ঈর্ষণীয় ফলাফলই বৈকি আফিফার !! বান্ধবীরাও আফিফার ফলাফলে ঈর্ষা করতো । পাশ করার পরপরই একটি স্বনামধন্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আকাঙ্খিত চাকুরী হয়ে গেলো আফিফার । আফরান যে একদম ফেলনা তা নয়। প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা। মা-বাবার চাপে পরে কিছুটা ছাড় দিয়েই বিয়েটা করতে হয়েছে। আফরানের চিন্তা ভাবনা আর আট-দশটা ফ্রডগতিশীল মেকি শিক্ষিতদের মত নয়। মূলকে ভুলে যায়নি সে । অন্যদিকে একজনের আইডিওলজি তো অন্যের মধ্যে ফোর্স করে ধারণ করানোও সহজ/ঠিক নয়। বিয়ের আগে যদিও আফরান ঝাপসা করে আফিফাকে তার ধ্যান ধারণার কথা বলেছিলো কিন্তু একটি স্বপ্নকে হত্যা করা অস্বস্তির দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলো ক্রমান্বয়ে । দিন যায় সময় যায় ব্যক্তি আফরানের ব্যক্তিত্বে ক্রমেই প্রভাবিত হতে থাকে আফিফা। সময় নিলেও সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেনি আফিফা।
আফিফা ____ এই যে শুনছো !
আফরান____কি ?
আফিফা ___রিজাইন লেটার জমা দিয়ে এসেছি ।
আফরান___কেন ? তিনদিনের ছুটির পরে কি আর ভার্সিটি ভালো লাগছে না ?
আফিফা____ তিন দিনে কি এই শিখে আসলে ?
হ্যাপি এন্ডিং
দৃশ্যপট-২-
বিবিএ পাশ করতে না করতেই মা ঝেঁকে ধরলো নাহিদকে । আর নয় বাপু। তোমার বড় ভাই বিয়ে করে বউ নিয়ে সাঙ্গ হয়েছে দুবাইতে । আমি আর একলা পারছিনে । তোমার মামার (চাচাতো) বড় মেয়ে রাদ্বিয়াকে আমি পছন্দ করেছি তোমার জন্য। তোমার সিদ্ধান্ত শোনার কোন প্রয়োজন নেই আমি যা করছি নিশ্চয়ই তোমার ভালোর জন্যই করছি। তুমি মানসিকভাবে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হও।
হয়ে গেলো বিয়ে। নাহিদ - রাদ্বিয়ার সংসার চলছে।
বড় ভাবী- হ্যালো রাদ্বিয়া শুনছো ??
রাদ্বিয়া-জ্বি ভাবী শুনছি বলুন । কেমন আছেন ভাবী ?
বড় ভাবী- আরে বলো না তোমাদের ছাড়া বিদেশ বিভুঁইয়ে কি থাকতে মন চায় ? নাহিদ তো দেখলে কেমন পরিবর্তন হয়ে গেলো ?
রাদ্বিয়া - জ্বি ভাবী।
বড় ভাবী- শুনো, তুমি ইন্টারটা কমপ্লিট করে ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য ট্রাই করবে । তোমার রেজাল্ট কিন্তু অনেক ভালো । বুজলা ?
রাদ্বিয়া - দেখি ভাবী।
বড় ভাবী- দেখি মানে কি ? অবশ্যই করবা । আচ্ছা এখন রাখি । ভালো থেকো ।
রাদ্বিয়া- জ্বি ভাবী, আসসালামু আলাইকুম।
ফোনে রাখার পরপরই নাহিদের আগমন কক্ষে ।
ভাই-ভাবী কেমন আছেন ? পিচ্চিটা ভালো তো ?
জ্বি ভালো ।
আচ্ছা শুনো আম্মু ফোন করেছিলো । তোমাকে কোথায় ভর্তি করাবো সে বিষয়ে চিন্তা করছি কিনা জানার জন্য। আমি তোমার সাথে কথা বলে জানাবো বলেছি।
সত্যি কথা বলতে আমি পছন্দ করিনা তুমি এই অসভ্যতার যুগে বাইরে বের হয়ে নিজেকে অনিরাপদ রাখো। আমি চাই আমার রাজত্বের রানী হয়ে তুমি আমার প্রাসাদটুকুকে সৌন্দর্যমন্ডিত করবে । আমি যেখানেই থাকবো সেখানেই আমার রাণীকে নিরাপদ ভাববো ।
কি বলো তুমি ?
___আপনি যা ভালো মনে করেন ।
হ্যাপি এন্ডিং
মূলকথা হলো - সহজ করো, কঠিন করো না।
মূলের দিকে ফিরে যাওয়াটাই মূল।
দৃশ্যপট -১ এর মূল্যায়ন-
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় , স্বজ্ঞানে , সূস্থ্য মস্তিষ্কে অন্যের বিনা প্ররোচনায় সম্যক বিষয় অবগত হইয়া এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলাম । আমি এই সিদ্ধান্তের উপর সন্তুষ্ট আছি এবং থাকবো।
দৃশ্যপট -২ এর মূল্যায়ন-
আমাদের দেশের টাকার নোটে লেখা থাকে না ?
“চাহিবামাত্র বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবেন।”
ক্ষেত্রবিশেষ বাহক অপরিপক্ক বা পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে অবগত নাও হতে পারে তখন তাকে বাধ্য করা দোষণীয় ব্যাপার নয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেকমত এবং প্রজ্ঞার দ্বারা মেহনত করার তৌফিক দান করেন।
সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করেন ।
সদ্য বিবাহিত আফরান ডাইনিং এ বসে ডিনার করছে স্ত্রী আফিফাকে সাথে নিয়ে।
দেশের নামকরা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পর্যায়ে ইকোনমিক্সে প্রথম বিভাগে প্রথম । স্নাতোকোত্তরেও প্রথম বিভাগ । ঈর্ষণীয় ফলাফলই বৈকি আফিফার !! বান্ধবীরাও আফিফার ফলাফলে ঈর্ষা করতো । পাশ করার পরপরই একটি স্বনামধন্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আকাঙ্খিত চাকুরী হয়ে গেলো আফিফার । আফরান যে একদম ফেলনা তা নয়। প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা। মা-বাবার চাপে পরে কিছুটা ছাড় দিয়েই বিয়েটা করতে হয়েছে। আফরানের চিন্তা ভাবনা আর আট-দশটা ফ্রডগতিশীল মেকি শিক্ষিতদের মত নয়। মূলকে ভুলে যায়নি সে । অন্যদিকে একজনের আইডিওলজি তো অন্যের মধ্যে ফোর্স করে ধারণ করানোও সহজ/ঠিক নয়। বিয়ের আগে যদিও আফরান ঝাপসা করে আফিফাকে তার ধ্যান ধারণার কথা বলেছিলো কিন্তু একটি স্বপ্নকে হত্যা করা অস্বস্তির দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলো ক্রমান্বয়ে । দিন যায় সময় যায় ব্যক্তি আফরানের ব্যক্তিত্বে ক্রমেই প্রভাবিত হতে থাকে আফিফা। সময় নিলেও সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেনি আফিফা।
আফিফা ____ এই যে শুনছো !
আফরান____কি ?
আফিফা ___রিজাইন লেটার জমা দিয়ে এসেছি ।
আফরান___কেন ? তিনদিনের ছুটির পরে কি আর ভার্সিটি ভালো লাগছে না ?
আফিফা____ তিন দিনে কি এই শিখে আসলে ?
হ্যাপি এন্ডিং
দৃশ্যপট-২-
বিবিএ পাশ করতে না করতেই মা ঝেঁকে ধরলো নাহিদকে । আর নয় বাপু। তোমার বড় ভাই বিয়ে করে বউ নিয়ে সাঙ্গ হয়েছে দুবাইতে । আমি আর একলা পারছিনে । তোমার মামার (চাচাতো) বড় মেয়ে রাদ্বিয়াকে আমি পছন্দ করেছি তোমার জন্য। তোমার সিদ্ধান্ত শোনার কোন প্রয়োজন নেই আমি যা করছি নিশ্চয়ই তোমার ভালোর জন্যই করছি। তুমি মানসিকভাবে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হও।
হয়ে গেলো বিয়ে। নাহিদ - রাদ্বিয়ার সংসার চলছে।
বড় ভাবী- হ্যালো রাদ্বিয়া শুনছো ??
রাদ্বিয়া-জ্বি ভাবী শুনছি বলুন । কেমন আছেন ভাবী ?
বড় ভাবী- আরে বলো না তোমাদের ছাড়া বিদেশ বিভুঁইয়ে কি থাকতে মন চায় ? নাহিদ তো দেখলে কেমন পরিবর্তন হয়ে গেলো ?
রাদ্বিয়া - জ্বি ভাবী।
বড় ভাবী- শুনো, তুমি ইন্টারটা কমপ্লিট করে ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য ট্রাই করবে । তোমার রেজাল্ট কিন্তু অনেক ভালো । বুজলা ?
রাদ্বিয়া - দেখি ভাবী।
বড় ভাবী- দেখি মানে কি ? অবশ্যই করবা । আচ্ছা এখন রাখি । ভালো থেকো ।
রাদ্বিয়া- জ্বি ভাবী, আসসালামু আলাইকুম।
ফোনে রাখার পরপরই নাহিদের আগমন কক্ষে ।
ভাই-ভাবী কেমন আছেন ? পিচ্চিটা ভালো তো ?
জ্বি ভালো ।
আচ্ছা শুনো আম্মু ফোন করেছিলো । তোমাকে কোথায় ভর্তি করাবো সে বিষয়ে চিন্তা করছি কিনা জানার জন্য। আমি তোমার সাথে কথা বলে জানাবো বলেছি।
সত্যি কথা বলতে আমি পছন্দ করিনা তুমি এই অসভ্যতার যুগে বাইরে বের হয়ে নিজেকে অনিরাপদ রাখো। আমি চাই আমার রাজত্বের রানী হয়ে তুমি আমার প্রাসাদটুকুকে সৌন্দর্যমন্ডিত করবে । আমি যেখানেই থাকবো সেখানেই আমার রাণীকে নিরাপদ ভাববো ।
কি বলো তুমি ?
___আপনি যা ভালো মনে করেন ।
হ্যাপি এন্ডিং
মূলকথা হলো - সহজ করো, কঠিন করো না।
মূলের দিকে ফিরে যাওয়াটাই মূল।
দৃশ্যপট -১ এর মূল্যায়ন-
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় , স্বজ্ঞানে , সূস্থ্য মস্তিষ্কে অন্যের বিনা প্ররোচনায় সম্যক বিষয় অবগত হইয়া এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলাম । আমি এই সিদ্ধান্তের উপর সন্তুষ্ট আছি এবং থাকবো।
দৃশ্যপট -২ এর মূল্যায়ন-
আমাদের দেশের টাকার নোটে লেখা থাকে না ?
“চাহিবামাত্র বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবেন।”
ক্ষেত্রবিশেষ বাহক অপরিপক্ক বা পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে অবগত নাও হতে পারে তখন তাকে বাধ্য করা দোষণীয় ব্যাপার নয়।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেকমত এবং প্রজ্ঞার দ্বারা মেহনত করার তৌফিক দান করেন।
সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করেন ।
No comments:
Post a Comment