Sunday, June 27, 2021

মগবাজারে আগুন, দায় কার

 আজ সন্ধ্যায় মগ বাজারে আগুন লেগেছে। এর দায় কার? 

দায় আমাদের সামগ্রিক।  এ আগুন নতুন নয়। এ আগুন সবসময়ের। শুধু মগবাজারে নয়। আগুন লেগেছে সর্বত্র। 

Monday, April 27, 2015

হ্যাপি এন্ডিং

দৃশ্যপট-১-
সদ্য বিবাহিত আফরান ডাইনিং এ বসে ডিনার করছে স্ত্রী আফিফাকে সাথে নিয়ে।
দেশের নামকরা একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পর্যায়ে ইকোনমিক্সে প্রথম বিভাগে প্রথম । স্নাতোকোত্তরেও প্রথম বিভাগ । ঈর্ষণীয় ফলাফলই বৈকি আফিফার !! বান্ধবীরাও আফিফার ফলাফলে ঈর্ষা করতো । পাশ করার পরপরই একটি স্বনামধন্য বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে আকাঙ্খিত চাকুরী হয়ে গেলো আফিফার । আফরান যে একদম ফেলনা তা নয়। প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা। মা-বাবার চাপে পরে কিছুটা ছাড় দিয়েই বিয়েটা করতে হয়েছে। আফরানের চিন্তা ভাবনা আর আট-দশটা ফ্রডগতিশীল মেকি শিক্ষিতদের মত নয়। মূলকে ভুলে যায়নি সে । অন্যদিকে একজনের আইডিওলজি তো অন্যের মধ্যে ফোর্স করে ধারণ করানোও সহজ/ঠিক নয়। বিয়ের আগে যদিও আফরান ঝাপসা করে আফিফাকে তার ধ্যান ধারণার কথা বলেছিলো কিন্তু একটি স্বপ্নকে হত্যা করা অস্বস্তির দিকেই নিয়ে যাচ্ছিলো ক্রমান্বয়ে । দিন যায় সময় যায় ব্যক্তি আফরানের ব্যক্তিত্বে ক্রমেই প্রভাবিত হতে থাকে আফিফা। সময় নিলেও সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেনি আফিফা।
আফিফা ____ এই যে শুনছো !
আফরান____কি ?
আফিফা ___রিজাইন লেটার জমা দিয়ে এসেছি ।
আফরান___কেন ? তিনদিনের ছুটির পরে কি আর ভার্সিটি ভালো লাগছে না ?
আফিফা____ তিন দিনে কি এই শিখে আসলে ?
হ্যাপি এন্ডিং 
দৃশ্যপট-২-
বিবিএ পাশ করতে না করতেই মা ঝেঁকে ধরলো নাহিদকে । আর নয় বাপু। তোমার বড় ভাই বিয়ে করে বউ নিয়ে সাঙ্গ হয়েছে দুবাইতে । আমি আর একলা পারছিনে । তোমার মামার (চাচাতো) বড় মেয়ে রাদ্বিয়াকে আমি পছন্দ করেছি তোমার জন্য। তোমার সিদ্ধান্ত শোনার কোন প্রয়োজন নেই আমি যা করছি নিশ্চয়ই তোমার ভালোর জন্যই করছি। তুমি মানসিকভাবে বিয়ের জন্য প্রস্তুত হও।
হয়ে গেলো বিয়ে। নাহিদ - রাদ্বিয়ার সংসার চলছে।
বড় ভাবী- হ্যালো রাদ্বিয়া শুনছো ??
রাদ্বিয়া-জ্বি ভাবী শুনছি বলুন । কেমন আছেন ভাবী ?
বড় ভাবী- আরে বলো না তোমাদের ছাড়া বিদেশ বিভুঁইয়ে কি থাকতে মন চায় ? নাহিদ তো দেখলে কেমন পরিবর্তন হয়ে গেলো ?
রাদ্বিয়া - জ্বি ভাবী।
বড় ভাবী- শুনো, তুমি ইন্টারটা কমপ্লিট করে ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য ট্রাই করবে । তোমার রেজাল্ট কিন্তু অনেক ভালো । বুজলা ?
রাদ্বিয়া - দেখি ভাবী।
বড় ভাবী- দেখি মানে কি ? অবশ্যই করবা । আচ্ছা এখন রাখি । ভালো থেকো ।
রাদ্বিয়া- জ্বি ভাবী, আসসালামু আলাইকুম।
ফোনে রাখার পরপরই নাহিদের আগমন কক্ষে ।
ভাই-ভাবী কেমন আছেন ? পিচ্চিটা ভালো তো ?
জ্বি ভালো ।
আচ্ছা শুনো আম্মু ফোন করেছিলো । তোমাকে কোথায় ভর্তি করাবো সে বিষয়ে চিন্তা করছি কিনা জানার জন্য। আমি তোমার সাথে কথা বলে জানাবো বলেছি।
সত্যি কথা বলতে আমি পছন্দ করিনা তুমি এই অসভ্যতার যুগে বাইরে বের হয়ে নিজেকে অনিরাপদ রাখো। আমি চাই আমার রাজত্বের রানী হয়ে তুমি আমার প্রাসাদটুকুকে সৌন্দর্যমন্ডিত করবে । আমি যেখানেই থাকবো সেখানেই আমার রাণীকে নিরাপদ ভাববো ।
কি বলো তুমি ?
___আপনি যা ভালো মনে করেন ।
হ্যাপি এন্ডিং 
মূলকথা হলো - সহজ করো, কঠিন করো না।
মূলের দিকে ফিরে যাওয়াটাই মূল।
দৃশ্যপট -১ এর মূল্যায়ন-
এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায় , স্বজ্ঞানে , সূস্থ্য মস্তিষ্কে অন্যের বিনা প্ররোচনায় সম্যক বিষয় অবগত হইয়া এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিলাম । আমি এই সিদ্ধান্তের উপর সন্তুষ্ট আছি এবং থাকবো।
দৃশ্যপট -২ এর মূল্যায়ন-
আমাদের দেশের টাকার নোটে লেখা থাকে না ?
“চাহিবামাত্র বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবেন।”
ক্ষেত্রবিশেষ বাহক অপরিপক্ক বা পরবর্তী পরিণতি সম্পর্কে অবগত নাও হতে পারে তখন তাকে বাধ্য করা দোষণীয় ব্যাপার নয়। 
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে হেকমত এবং প্রজ্ঞার দ্বারা মেহনত করার তৌফিক দান করেন।
সবাইকে দ্বীনের জন্য কবুল করেন ।

বন্ধু নির্বাচন যেনো ভুল না হয়

সাজিদ ভাই । ৩০তম বিসিএসে কোন রকম কষ্ট পেরেশানী ছাড়াই ডাক্তারী কোটায় হয়ে গেলো। হবে না কেনো বলেন ? অন্যদের যেখানে ৮০+ মার্ক পেয়ে প্রিলি পাস করতে হয় সেখানে ডাক্তারদের ৬৫+ থাকলেই পাশ। লিখিত আর ভাইবা সন্তোষজনকভাবে চালাতে পারলেই খেইল খতম। তারপর ট্রেনিং শুরু । ছাড় দিবেই বা না কেনো ? যে পরিমাণ লড়াই করে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় টিকতে হয় সেটা কি ভেবে দেখেছি কোন সময় ?
গেট রেডি ফর জয়েন।
ঢামেকহা (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) হতে পড়াশোনা, নগরকেন্দ্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত গ্রামে গিয়ে মন টিকাতে পারবে তো ছেলেটা ? খাবে কি , থাকবে কোথায় মায়ের মনে রাজ্যের প্রশ্ন ।
কয়েকটা দিনই তো । প্রাথমিক পর্যায়ে বাধ্যতামূলক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করতে হয়। তারপর না হয় ওর বাবাকে বলে কয়ে ঢাকায় পোষ্টিং এর ব্যবস্থাটা করে দেওয়া যাবে।
কি জানি কি হয় !! আল্লাহই ভালো জানেন।
নির্দিষ্ট দিনে কাজে যোগদান করলো সাজিদ। ‍উদ্যমী মন । সুঠাম দেহ। মানব সেবার ব্রত নিয়েই তো ছিলো ল্যাব, ক্লাস, প্রাকটিকাল, এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন।
প্রথম প্রফ থেকে শুরু করে ফোর্থ প্রফ পর্যন্ত মনযোগীতার সর্বোচ্চ ঢেলে দিতে হয়।
জীবন মরণের প্রশ্নে কোনভাবেই অমনযোগী হওয়া চলে না।
আনুষ্ঠানিক জটিলতা শেষ করে স্বপ্নের কাজে যোগদান করলো সাজিদ ।
“উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা” গ্রামের মানুষগুলির নির্ভরতার প্রতীক সরকারি হাসপাতালের সরকারের প্রথম শ্রেণীর চাকুরে।
“ডাক্তার সাবরা কত কষ্ট করে গেরামে থাহে, তারারে সম্মান জানানো উচিত, সুখে-দুঃখে খোঁজ খবর রাখা উচিত। ”- সহজ সরল গ্রামের মানুষগুলোর মনের কথাই যেন এমনটা।
কর্ম ব্যস্ততায় দিন কাটে সাজিদের । এইতো পেশেন্ট দেখা, সার্জারীর কাজ থাকলে তাও দেখতে হয়। রোগীদের ঢাকায় পাঠানোর দায়িত্ব নানামুখী ব্যস্ততায়।
বাব মাকেও মনে করে ।
হ্যালো মা, কেমন আছেন ?
আবার প্রিয়ার জন্য আছে পিছুটান।
এইতো আর কয়েকটা দিন। ঢাকায় এসেই তোমাকে ঘরে তুলবো । রাগ করো না প্লিজ !!
---------
থাকো তোমার ডাকটারী নিয়া .......টুৎ......টুৎ.......টুৎ
----------
উপজেলাতেই বাহার সাহেবের একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার । রমরমা ব্যবসা । বাহার সাহেবের খুব সু-অভ্যাস তিনি মানুষকে আপন করে নিতে পারেন। আস্থার জায়গাতে তিনি স্থান করে নেন অতি সহজেই। বিশেষতঃ উপজেলাতে কর্মরত ডাক্তারদের সাথে। হাসপাতালের সহযোগীরা সাজিদকে বাহার সাহেব সম্পর্কে কমবেশী ধারণা দিলেও সাজিদ বাহার সাহেবকে ভালো বলেই জানেন। দিনকে দিন বাহার সাহেব সাজিদ এর ঘনিষ্ট থেকে ঘনিষ্টতমই হচ্ছেন। ডিউটি শেষে মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয় আর আসার কোন নাম গন্ধ থাকে না।
নানা ধরনের মানুষ এর সাথে জলচল বাহার সাহেবের । সাজিদও মিশতে শুরু করেছে নানামুখী মানুষের সাথে।
আরে ডাক্তার সাহেব জীবনটাকে উপভোগ করেন । বুঝলেন এটা খেয়ে দেখেন না একবার। একদম অন্য রকম লাগবে !! অন্য রকম টেস ।
খেই হারিয়ে যাওয়া একটি সম্ভাবনা।
কতগুলো স্বপ্নের অপমৃত্যু ।
দিনকে দিন অভ্যস্ত হওয়া নানা ধরণের আসক্তির সাথে।
শরীরের মধ্যে তেমন তেজদীপ্ততা নেই , কর্মে নেই চাঞ্চল্য।
শুধু অস্থির অস্থির লাগে ।
সময়: রাত বারোটা।
নাইট শিফ্ট সাজিদ এর । ডক্টরস রুমে সাজিদ আছে তার কাজ নিয়ে।
বিষ খাওয়া রোগী আনা হলো সিএনজিতে করে । রোগীর পাশে থাকা স্বজনরা হাসপাতালের করিডোরে নেমেই চিৎকার শুরু করলো ডাক্তার ডাক্তার বলে।
নার্সরা রোগীকে বেডে শুইয়ে ডাকতে গেলো ডাক্তারকে।
আমাদেরকে ইংরেজীতে বাক্য গঠন (কাল অধ্যায়ে) পড়াতো ইংরেজীর শিক্ষকরা।
ডাক্তার আসিবার পূর্বেই রোগী মারা গেলা ।
আজ নতুন একটা বাক্য শুনুন।
“রোগী আসিবার পূর্বেই ডাক্তার মারা গেলো ”
জ্বি, এটাই সত্য । অনেক ডাকাডাকির পরও সাজিদ জাগ্রত হলো না। সকালে এ্যাম্বুলেন্স করে আইনি জটিলতা, সরকারি কাগজপত্রাদি ঠিক করে সাজিদের বাবা লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকায় আনলেন। বাকিটা
বিশেষ দ্রষ্টব্যতে কি সৎসঙ্গের উপর কিছু বলা প্রয়োজন ছিলো ?
{ বলে রাখা ভালো: ঘটনার কেন্দ্রীয় চরিত্র আমার নিজ ‍উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ছিলেন। অসূস্থতার খাতিরে হাসপাতালে গিয়েছিলাম দুয়েকবার যতটুক বাতচিৎ হয়েছিলো তাঁকে আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা উনার ভুল ত্রুটিকে মাফ করে দেন। }

বিজ্ঞান দিয়া ইসলাম প্রমানের দরকার নাই , বিজ্ঞান ইসলাম দিয়া প্রমাণ হবে।

In the 1930’s there was “no link” that proved that cigarettes caused lung cancer either, in fact, doctors were still promoting cigarette smoking in the 1950’s. It wasn’t until 1964 when the American Cancer Society finally mentioned that there was a direct link between cigarette smoking and lung cancer. If they would have found out the link to cigarettes and cancer sooner, just think of all the money that would not have been made for the sale of cigarettes -and the treatment of cancer.
বাংলায় তর্জমা-
১৯৩০ সাল। বাইজ্ঞানীরা বলিয়াছিলো দেয়ার ইজ কোনো সম্পর্ক নাই যদি সিগারেট খান লান্স ক্যান্সার হওয়ার।
১৯৫০ সাল পর্যন্ত ডাক্তাররা সিগারেট খাওয়ারে প্রমোট করতো সরাসরি।
১৯৬৪ সালে গো+এষণা করে তারা বাইজ্ঞানীরা বের করতে সমর্থ হলো যে সিগারেট লান্স ক্যান্সারের ডাইরেক্ট কারণ ।
বাইজ্ঞানীরা যদি আরো আগে এই ডারেক্ট লিংকুটা আগে পাইতো তাইলে কত সিকারেট বেচা কম হইতো আর ক্যান্সারেরও ট্রিটমেন্ট হইতো।
একটা আর্টিকেল পড়তে নিয়া এই অংশটুকু মনযোগ আকর্ষন করছিলো।
এই ধইঞ্চা মার্কা আবিষ্কার ১৪০০ বছর আগেই জানি।
কথা হইলো বিজ্ঞান দিয়া ইসলাম প্রমানের দরকার নাই , বিজ্ঞান ইসলাম দিয়া প্রমাণ হবে।

http://www.collective-evolution.com/2014/04/16/ladies-its-finally-time-to-take-off-that-bra-for-good/?fb_action_ids=614737628657562&fb_action_types=og.likes&fb_source=feed_opengraph&action_object_map=%7B%22614737628657562%22%3A1484212705126709%7D&action_type_map=%7B%22614737628657562%22%3A%22og.likes%22%7D&action_ref_map=[]

সৌভাগ্যবতীর সৌভাগ্যময় মরণ


আনোয়ার ভাই। আমাদের মসজিদের সাথী। আমরা সাথী বলি মেহনতের সাথে সম্পৃক্ত ভাইদেরকে। আপনারাও আমার সাথী। 
পেশায় একজন ছোটখাটো চাকুরীজিবী। ১২ বছরের বিবাহিত সংসার। ৯ বছর বয়সী একটি কন্যা ও ৪ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তান। বেশ সুখেই সংসার কেটে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
প্রথম তিন দিন আল্লাহর রাস্তায় সময় ব্যয় করার পর থেকেই আনোয়ার ভাইয়ের জীবন অভ্যস্ত হতে থাকে আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশিত পথ অনুযায়ী। পুরোপুরি সন্নতের উপর উঠার চেষ্টা করলেন, অনেকাংশে সফলও হলেন। মাত্র তিন দিনে এত পরিবর্তন ?? আসলে তিন দিন, ৪০ দিন, ১২০ দিন, আলেম, শায়খ, হাজ্বী হওয়া সফলতার পরিমাপক নয়। আল্লাহ তায়ালা যাকেই নেক আমাল করার তৌফিক দান করবেন সেই সৌভাগ্যবান।
“ কু-আনফুসাকুম ওয়া আহলিকুম নার “-নিজে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচো, পরিবারবর্গকেও বাঁচানোর চেষ্টা করো।
চেষ্টা শুরু করলেন পরিবারের পিছনে।
বিভিন্ন মজলিশে শোনা ঈমানী কথাগুলি, সাহাবা আজমাঈনদের ঘটনা গুলি বাসায় গিয়ে প্রিয় মানুষটির সাথে বলতেন , শোনাতেন।
প্রিয় মানুষটিও তন্ময় হয়ে শুনতেন, সঙ্গ দিতেন । সহজ সরল গ্রাম্য বধুটির অন্তরের দানা বাধা ঈমানের বীজটি ক্রমেই সম্প্রসারিত হয়ে ডালপালা গজাতে লাগলো। ঈমানের স্বাধে আস্বাদিত হতে লাগলো দৈনন্দিন আামলগুলি। সাপ্তাহিক তালীম, ঘরে তালীম, দৈনন্দিন আমালে ‍উন্নতি আসতে শুরু করে।
ছোট ছেলেটাকে কোরআন শিখানোর সাথে সাথে নিজের কোরআনটাকেও সহী করার নিয়ত করতে ভয় পাননি। আনোয়ার সাহেবকে সাথে নিয়ে এ মাসের ২৬-২৮ (এপ্রিল-২০১৪) তারিখে মাস্তুরাত জামাতের নাম লিখিয়ে এসেছেন প্রথম বারের মত জামাতে যাবেন বলে। আনোয়ার ভাইও খুশি হলেন।
গত কয়েক দিন আগের কথা হঠাৎ শরীরের তাপমাত্র বাড়তে থাকলো, খাবার-দাবারে এতটুকুনও রুচি নেই। ক্রমেই দুর্বল হয়ে পরলেন আনোয়ার ভাইয়ের স্ত্রী। আনোয়ার ভাই পেরেশানীতে পরে গেলেন ঢাকা মেডিকেল , সোহরাওয়ার্দী, পিজি সব জায়গাতেই ঘোরাঘুরি করে সবশেষে ইবনে সিনায় কিছুটা স্বস্তি পেলেন। আইসিইউ ( ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিট - নিবিড় পর্যবেক্ষন কেন্দ্র) তে থাকার পর কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরে আসলেন ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ।
আলহামদুলিল্লাহ! সবার মনে আনন্দের ঝিলিক।
কিন্তু,
সপ্তাহ না পেরোতেই আবারও সেই পূর্বের অবস্থা । গত দু‘দিন আগের কথা সকালে বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারছিলেন না । আনোয়ার ভাই ধরে উঠালেন স্ত্রীকে; পানি পান করালেন নিজ হাতে । কালেমার কথা মনে করিয়ে দিতে নিজেই পাঠ করলেন - লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
পাশে ছিলেন আনোয়ার ভাইয়ের বোন । ভাবীকে সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত করার অনুরোধ জানালেন। আনোয়ার ভাইয়ের স্ত্রী শুরু করলেন, “ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
হুয়াল্লা হুল্লাজী লা-ইলাহা................... বোনরে আমার অনেক ঘুম পাচ্ছে। আমাকে একটু শুইয়ে দে।”
ঘুমিয়ে পরলেন তিনি, তারপর অবচেতন হলেন, অতপর আল্লাহ তায়ালার দরবারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন।
অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলো, ডাক্তার ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করলেন।
এটাকে বলা হয় একজন- সৌভাগ্যবতীর সৌভাগ্যময় মরণ।
কালেমা পড়ে মরণ, কোরআন তেলাওয়াত করতে করতে মরণ।
গতকাল এশার সময় বরিশালে লাশ নেওয়া হয়। গ্রামেই দাফন করা হলো।
আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাত নসীব করেন। ভুলত্রুটিকে মাফ করে দেন।
কত প্ল্যান , কত পরিকল্পনা, কত চিন্তাতে ব্যস্ত সময় আমাদের । জানা নাই কখন রশি টান পরে যায়।
হে আল্লাহ, তোমার কাছে নিয়ে যাওয়ার আগেই আমাদেরকে নেক আমাল করার তৌফিক দান করেন।
আমাদের পরিবার পরিজনদেরকেও জাহান্নামের আগুন থেকে বাচাঁনোর চেষ্টা করার তৌফিক দান করেন।

আজাব গজব থেকে কিভাবে অক্ষত আমরা ??

মৃতের সংখ্যা ৩২০০+ ছাড়িয়ে যাচ্ছে । ভেঙ্গে পরেছে সামগ্রিক অবকাঠামো।
আল্লাহর নাফরমানীতে ব্যাপকভাবে লিপ্ত হলে আল্লাহ তায়ালা আসমানী দুর্যোগ, জমিনি বালা দিয়ে বান্দাদের সতর্ক করেন।
পশ্চিমা আর দাদাদের অনুকরণে আমরাও কম করছি কিসে ? কি করার বাকী আছে গজব না আসার জন্য?
বাংলাদেশের এমন অক্ষত অবস্থা দেখে ভাবনায় পরে গেলাম। কিসের মাধ্যমে আমরা বেঁচে যাচ্ছি বারংবার ?
আল্লাহ তায়ালাই মাথায় দিলেন -আলহামদুলিল্লাহ ! আমাদের দেশের দ্বীনি মাদারিস, আল্লাহর রাস্তায় চলনেওয়ালা বান্দাবান্দী আর আল্লাহ ওয়ালাদের পায়ের ধুলোর বরকতে বার বার গজব থেকে বেঁচে যাচ্ছি আমরা ।
হে আল্লাহ আপনি আমাদের উপর রহম করুন।
আমাদেরকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।

Thursday, May 9, 2013

২০১৩ সালের এস এস সি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আজ 09/05/2013 ইং তারিখে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়া যাবে এই ঠিকানায়ঃ এখানে ক্লিক করুন।